খালেদাকে গ্রেফতারের পরিণতি সরকারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ২:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

rijvi pressবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলে তার পরিণতি হবে বর্তমান ‘অবৈধ সরকারের’ জন্য রাজনৈতিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার দুপুরে বিএনপির সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকার মনে করছে বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করলেই বোধহয় বিশ দলের আন্দোলনে ভাটা পড়বে, কিন্তু তারা ভুলে গেছে কথিত বন্দুক যুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের পরও আন্দোলনকারীরা যখন হরতাল অবরোধে অগ্রগামী তখন বেগম জিয়াকে গ্রেফতারের পরিণতি হবে বর্তমান অবৈধ সরকারের জন্য রাজনৈতিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও শাসকদলের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য বিবৃতি শুনলে মনে হয় কে কতো নিন্ম রুচির ভাষা প্রয়োগ করতে পারে সেটারই প্রতিযোগিতা করছে তারা।

মহান জাতীয় সংসদকে যেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কার্যালয় কিংবা আওয়ামী মহাজোট সরকারের ক্লাব ঘরে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে গানবাজনা থেকে শুরু করে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে গালিগালাজ এবং বর্তমান চলমান আন্দোলন দমানোর হুমকি-ধামকির প্রতিযোগিতা চলছে।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেফতার ও বিচার করার জন্য তারা তারস্বরে চিৎকার জুড়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাই শেখ সেলিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে নাকি প্রকাশ্যে রাস্তায় ধরে এনে বিচার করা হবে। সেখ সেলিমের এ ধরণের বক্তব্য কেবল শেখ হাসিনাকে খুশী করা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিএনপি’র অস্তিত্ব প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র জ্বালা। ‘

রিজভী বলেন, ‘এখন একদলীয় রাষ্ট্র, একদলীয় জাতীয় সংসদ, একদলীয় নির্বাচন, একদলীয় জনপ্রশাসন এবং একদলীয় বিচার ব্যবস্থা বিরাজমান। সুতরাং সমগ্র রাষ্ট্রটিকেই আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় আইনি প্রক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রীর জারিকৃত ফরমানের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী শাসন আর মরণের বার্তা যেন সমার্থক। জনগণের কন্ঠনালী কেটে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করার ঐতিহ্য এদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই। সেজন্য নতুন রুপে নয়, আসল রুপেই বাকশালকে চূড়ান্ত রুপে দাঁড় করানো হয়েছে। আর এজন্যই বেগম জিয়াকে বন্দি করার নানা ফন্দি আঁটা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকে শুধুমাত্র সরকারের সকল বার্তা প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর বাকস্বাধীনতার আইনগত অধিকারকে তো আগেই শুলে চড়ানো হয়েছে।’

পসঙ্গত, দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ওঠে জাতীয় সংসদে। এ ইস্যুতে একই সুরে বক্তব্য দেন সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তারা এ দাবি তোলেন।

এর আগে বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল অবরোধ-হরতালের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যা করছে। তার হুকুমেই মানুষ পুড়িয়ে মারা তাই হুকুমের আসামি হিসেবে খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনাটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/বাদল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G